পরিচয়

দীপান্বিতা রায়ের ছোটবেলা কেটেছে শিল্পশহর বার্নপুরে। স্কুলের পাঠ সেখানেই।তারপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা। নবনীতা দেবসেন, মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখের সান্নিধ্যে সাহিত্যের গভীরে যাওয়ার অভ্যাস। পেশায় বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সাংবাদিক। লেখালিখির শুরু ২০০৮ সাল থেকে। ইতিমধ্যেই লেখার জগতে পরিচিত নাম। l

 দীপান্বিতা লেখেন নিজের চারপাশের জগৎ নিয়ে। দৈনন্দিন জীবনের কঠিন বাস্তব, অভ্যস্ত খুঁটিনাটিই তাঁর উপজীব্য। কিন্তু তিনি নিজেকে শুধুমাত্র সেই সীমিত গণ্ডির মধ্যে আটকে রাখেন না। তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে যান দৈনন্দিনতার সংকীর্ণতা। তাঁর চরিত্ররা সাধারণ মানুষ হয়েও উন্নীত হয় বৃহত্তর জীবনবোধে। জীবনের প্রতি, মানুষের প্রতি এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিই, তাঁর লেখার অন্যতম বৈশিষ্ট। দীপান্বিতা লেখেন ছোটদের এবং বড়দের জন্যও।

দীপান্বিতার রূপকথার গল্প বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে।  তাঁর রূপকথার বৈশিষ্ট হল, গল্পের আঙ্গিকে দিদিমা-ঠাকুমার রাক্ষস-খোক্কসের গল্প বলার ধরন বজায় থাকে ঠিকই, কিন্তু বিষয়ে তা হয়ে ওঠে আধুনিক। আজকের ছোটদের মনোজগতের উপযোগী। যে গল্পের সঙ্গে ছোটরা নিজেদের সংযোগ খুঁজে পায়, যে রূপকথা তাদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্ক, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে সাহায্য করে।