ড্রাকুলার সঙ্গে পরিচয় আমার বেশ ছোটবেলায়। প্রথমে গল্প শুনেছিলাম আমার প্রতিবেশী দীপককাকুর মুখে। সে প্রায় হাড় কাঁপানো অনুভূতি। তারপর পড়ে ফেললাম স্কুলের লাইব্রেরি থেকে নিয়ে। সিনেমা দেখলাম কলেজে পড়ার সময়। ফলে ড্রাকুলা ট্যুরের আকর্ষণ ছাড়া কঠিন। তবে বেড়াতে গিয়ে বুঝলাম রুমেনিয়া দেশটাই অসম্ভব সুন্দর। গাড়ি নিয়ে আমরা ঘুরেছিলাম একদম প্রত্যন্ত গ্রামের ভিতর দিয়ে। দুপাশের দৃশ্য অসাধারণ। মানুষজন ভারি ভালো। বেড়াতে গিয়েই জানতে পারলাম ড্রাকুলার আসল নাম হল ভ্লাদ। এই রাজাকে ট্রান্সেলভেনিয়ার মানুষ কিন্তু মোটেই কোনও রক্তপিপাসু, পিশাচ হিসাবে চেনে না। বরং তাঁর পরিচয় দেশপ্রেমিক হিসাবেই। তাঁকে এরকম একটা অমানিবক, অশরীরী চরিত্রে বদলে দেওয়ার পিছনে ব্রামস্টোকারের অন্য উদ্দেশ্য ছিল। দেখেছিলাম ভ্লাদের জন্মস্থান, তাঁর কেল্লা, রুমেনিয়ার রাজপ্রাসাদ, অপূর্ব সব মিউজিয়াম। সাড়ে চার হাজার সিঁড়ি ভেঙে উঠেছিলাম পোয়েনারি কেল্লায়। পাহাড়ের ওপর থেকে কার্পেথিয়ান অরণ্যকে উপভোগ করা এক অনন্য অভিজ্ঞতা। সাধারণভাবে যাঁরা ইউরোপ বেড়াতে যান, তাঁদের তালিকায় রুমেনিয়া থাকে না। কিন্তু সৌন্দর্য্যে এবং বৈচিত্রে এই দেশ এক কথায় অনন্যসাধারণ।

Click on an image to Zoom